সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে মিথ্যে বলা জরুরী - Lifestyle
1 / 3
নলেজ

সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে মিথ্যে বলা জরুরী

ছোট একটি শব্দ সম্পর্ক। তবে দায়িত্বের দিক থেকে এটি অনেক বড়। সমাজে বিভিন্ন ধরণের সম্পর্ক আছে। মা-বাবার সঙ্গে সম্পর্ক, ভাইবোনের সঙ্গে সম্পর্ক, অন্যান্য আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে সম্পর্ক। কিছু সম্পর্ক হয় চিরস্থায়ী, কিন্তু সম্পর্ক খুব জটিল এবং ভঙ্গুর। তাই ভালোবাসার গভীরতা থাকা সত্ত্বেও অনেক সময় ঠুনকো অভিমানের জন্য সম্পর্ক ভেঙে যায়।

তাই বন্ধন সুদৃঢ় করতে একটু-আধটু মিথ্যে বললে দোষ হয় না। বরং সংসার সুখের হয় মিথ্যের গুণে! তবে শুধু দম্পতি নয়, এই ৮ মিথ্যা মজবুত রাখতে পারে প্রেমের সম্পর্ককেও! দেখে নিন সেগুলো কী

১. খারাপ হলেও বলুন রান্না দারুণ হয়েছে - হতেই পারে, সঙ্গী বা সঙ্গিনীর রান্না কারও পছন্দ হয়নি। কিন্তু আপনার কাছে সেটাই হোক অমৃত। হল না। প্রথমবার মিথ্যে বলাই ভালো!

২. উপহার খুশি মনে গ্রহণ করুন- সঙ্গী বা সঙ্গিনী কোনও উপহার দিলে, সেটা পছন্দ না হলেও খুশি মনে গ্রহণ করুন। এ ক্ষেত্রে কলহ হবে না।

৩. দারুণ লাগছে দেখতে - সঙ্গী বা সঙ্গিনী কিছু পরলে, সেটা তাকে না মানালেও সত্যিটা বলা যাবে না! বরং বলুন তোমাকে দারুণ মানিয়েছে।

৪. রসিকতার প্রশংসা - সঙ্গী বা সঙ্গিনীর কোনও রসিকতায় অন্যের হাসি না-ই পেতে পারে! তবে আপনি হাসুন, মজা করুন। রসিকতায় সমর্থন জানিয়ে হাসা-ই ভালো!

৫. সঙ্গিনী বা সঙ্গীর প্রশংসা করুন - এখনও সমাজে অনেকে স্থূলকায় ব্যক্তিদের নিয়ে পরিহাস করেন। তাই সঙ্গী বা সঙ্গিনীর চেহারা নিয়ে সরাসরি কথা না বলাই ভালো।

৬. পরিবারের প্রশংসা - সঙ্গী বা সঙ্গিনীর পরিবারের ব্যক্তিদের কাউকে অপছন্দ হতেই পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রে তার পরিবারের সদস্যদের নিন্দা করবেন না। মনের কথা বরং মনেই রাখুন। ব্যক্তিটি খারাপ হলে সময় মতো আপনাআপনি তার মুখোশ খুলে যাবে।

৭. হক কথা - কখনও কখনও সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সব কথা সঠিক হয় না। অনেকে গুছিয়ে কথা বলতে পারেন না, এতে সরাসরি কথা না ধরে পরিস্থিতি বুঝে তা এড়িয়ে গিয়ে উল্টোটা বলা বুদ্ধিমানের কাজ!

৮. ভালো না লাগলেও ছবি দেখুন - সঙ্গী বা সঙ্গিনী একসঙ্গে কোনো চলচ্চিত্র দেখতে চাইলে, সেটা যত অপছন্দই হোক না করবেন না। বরং এ ব্যাপারে আগ্রহ দেখান।